মেহেরগড় সভ্যতা,মধ্য প্রস্তর যুগে গুহাচিত্র বা প্রাচীন ভারতে গুহাচিত্র আবিষ্কৃত

প্রাচীনতম গ্রামীণ সভ্যতার ইতিহাসে মেহেরগড় সভ্যতার আবিষ্কার ভারত তথা বিশ্বের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। কীথার ও সুলেমান পর্বত শ্রেণিদুটির মাঝখানে বালুচিস্তানের বোলান নদীর উপত্যকায় কোয়েটা অঞ্চল থেকে ১৫০ কিমি দূরে মেহেরগড় অবস্থিত। জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ নামে একজন ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ ১৯৭৪ সালে খননকার্যের দ্বারা এই প্রাচীনতম সভ্যতা আবিষ্কার করেন। ভারতের সবথেকে প্রাচীনতম এই সভ্যতা ৫০০ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকদের হমতে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দের মধ্যে মেহেরগড় সভ্যতার সূচনা, বিস্তার ও বিলোপ ঘটে।

 বৈশিষ্ট্য: মেহেরগড় সভ্যতার সাতটি স্তর লক্ষ্য করা যায়। প্রতিটি স্তরের বৈশিষ্ট্য ছিল নিম্নে আলোচিত হল-

(ক) প্রথম স্তর: প্রথম স্তরের সময়কাল হল খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০-৫০০০ খ্রিস্টপূর্ব। যে এই স্তরে গ্রামীণ সভ্যতার নিদর্শন দেখা গেছে।

(খ) দ্বিতীয় স্তর: দ্বিতীয় স্তরের সময়কাল হল খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০-৪০০০ খ্রিস্টপূর্ব। এই স্তরে গৃহপালিত পশুর নিদর্শন ছাড়াও মৃৎপাত্র, হস্তশিল্প, এমনকি সেলাই করা বস্ত্রাদি ব্যবহারের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

(গ) তৃতীয় স্তর: তৃতীয় স্তরের সময়কাল হল খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০-৩৫০০ খ্রিস্টপূর্ব। এই স্তরের মানুষ প্রযুক্তিবিদ্যার সাথে পরিচিত হয়। কৃষি অর্থনীতির ওপর নির্ভরতা ছেড়ে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু করে।

(ঘ) চতুর্থ-সপ্তম স্তর চতুর্থ থেকে সপ্তম স্তরের সময়কাল হল খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০-২৬০০ খ্রিস্টপূর্ব। এই স্তরে মেহেরগড় বস্তুগত সংস্কৃতি আরও পরিণতি লাভকরে। মৃৎপাত্র নির্মাণে নানা ধরনের বৈচিত্র্য আসে এবং নানা রঙের ব্যবহার হতে থাকে। শস্য ক্ষেত্রে জল সেচের জন্য খাল কাটার প্রমাণ পাওয়া যায়। মেহেরগড়ের বহু জায়গায় দ্বিতল এমনকি ত্রিতল সারিবদ্ধ বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। 

মহেঞ্জোদড়ো ও চানদ্দডো, গুজরাটের ক্যামবে উপত্যকায় লোথাল, উত্তর রাজস্থানের কালিধানগান এবং হরিয়ানার হিসার জেলার বনওয়ালি। প্রধান দুটি নগর হরপ্পা ও মহেঞ্জোদাড়োর দূরত্ব প্রায় ৪৮৩ কিলোমিটার।

মেহেরগড় সভ্যতা।

প্রাচীনতম গ্রামীণ সভ্যতার ইতিহাসে মেহেরগড় সভ্যতার আবিষ্কার ভারত ওখ্যা বিশ্বের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। কীথার ও সুলেমান পর্বত শ্রেণিদুটির মাঝখানে বালুচিস্তানের বোলান নদীর উপত্যকায় কোয়েটা অঞ্চল থেকে ১৫০ কিমি দূরে মেহেরগড় অবস্থিত। জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ নামে একজন ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ ১৯৭৪ সালে খননকার্যের দ্বারা এই প্রাচীনতম সভ্যতা আবিষ্কার করেন। ভারতের সবথেকে প্রাচীনতম এই সভ্যতা ৫০০ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দের মধ্যে মেহেরগড় সভ্যতার সূচনা, বিস্তার ও বিলোপ ঘটে।

 বৈশিষ্ট্য: মেহেরগড় সভ্যতার সাতটি স্তর লক্ষ্য করা যায়। প্রতিটি স্তরের বৈশিষ্ট্য নিম্নে আলোচিত হল-

(ক) প্রথম স্তর: প্রথম স্তরের সময়কাল হল খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০-৫০০০ খ্রিস্টপূর্ব। এই স্তরে গ্রামীণ সভ্যতার নিদর্শন দেখা গেছে।

(খ) দ্বিতীয় স্তর: দ্বিতীয় স্তরের সময়কাল হল খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০-৪০০০ খ্রিস্টপূর্ব। এই স্তরে গৃহপালিত পশুর নিদর্শন ছাড়াও মৃৎপাত্র, হস্তশিল্প, এমনকি সেলাই করা বস্ত্রাদি ব্যবহারের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

(গ) তৃতীয় স্তর: তৃতীয় স্তরের সময়কাল হল খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০-৩৫০০ খ্রিস্টপূর্ব। এই স্তরের মানুষ প্রযুক্তিবিদ্যার সাথে পরিচিত হয়। কৃষি অর্থনীতির ওপর নির্ভরতা ছেড়ে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু করে।

(ঘ) চতুর্থ-সপ্তম স্তর চতুর্থ থেকে সপ্তম স্তরের সময়কাল হল খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০-২৬০০ খ্রিস্টপূর্ব। এই স্তরে মেহেরগড় বস্তুগত সংস্কৃতি আরও পরিণতি লাভকরে। মৃৎপাত্র নির্মাণে নানা ধরনের বৈচিত্র্য আসে এবং নানা রঙের ব্যবহার হতে থাকে। শস্য ক্ষেত্রে জল সেচের জন্য খাল কাটার প্রমাণ পাওয়া যায়। মেহেরগড়ের বহু জায়গায় দ্বিতল এমনকি ত্রিতল সারিবদ্ধ বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে।

History-র ক্ষেত্রে অতীত ঘটনা কালক্রমে বিবরণী, লিপিবদ্ধকরণ, বিশ্লেষণ ও ঐতিহাসিকদের দৃষ্টিভঙ্গি সংযোক হয়। History বলতে অতীতের আলোকে বর্তমান বোঝায়। কোনো পুরাণের কাহিনি বোঝায় না। "What is History' গ্রন্থে ঐতিহাসিককার বলেছেন, ইতিহাস হল বর্তমানের ও অতীতের তথ্যের মধ্যেকার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার নিরন্তর প্রক্রিয়া তথ্য সংগ্রহ, নির্বাচন, বিচার বিশ্লেষণ, কার্যকারণ বিভিন্ন ধাপের মধ্যে দিয়ে ইতিহাস অগ্রসর হয় এবং সত্যে উপনীত হওয়ার চেষ্টা করে। History-র ক্ষেত্রে এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করা হয় না।

 নব্য প্রস্তর যুগের বিপ্লব।

ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলতে যে প্রস্তর যুগকে নির্দেশ করা হয় তার মধ্যে প্রাচীনতম দুটি যুগ অর্থাৎ প্রস্তর এবং মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষ ছিল যাযাবর ও খাদ্য সংগ্রহকারী। সেই সময় হাতিয়ার ছিল অমসৃণ এবং বড়ো পাথরের তৈরি। কিন্তু ৭০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ও তৎপরবর্তী সময়ে অর্থাৎ নব্য প্রস্তর যুগের সংস্কৃতির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। এই যুগে মানুষ খাদ্য সংগ্রহকারী থেকে খাদ্য উৎপাদনকারীতে পরিণত হয়। এই যুগের হাতিয়ারগুলিতে ধারাবাহিক পরিবর্তনের ছাপ সুস্পষ্ট। হাতিয়ারগুলি ছিল যথেষ্ট তীক্ষ্ণ, মসৃণ ও উন্নত, এমনকি হাড়ের তৈরি হাতিয়ারও ব্যবহার হত।

নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ কৃষিকাজ ও পশুপালন করতে শুরু করে। তারা যাযাবর জীবন ছেড়ে এক জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। এই সময় ফসল কাটার জন্য তৈরি হয় কাস্তে। এছাড়া কুলো, হামানদিস্তা, শিলনোড়া, যাতা, হাতুড়ি, বাটালি প্রভৃতি যন্ত্রপাতির উদ্ভব হয়। এই সময় হাতকুঠারের সামনের দিকটা অনেক বেশি তীক্ষ্ণ এবং হাতলযুক্ত হয়। নিজেদের উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য মজুত করার জন্য শস্যাগার গড়ে তোলা হয়। এই সময় মানুষ আগুনের নানাবিধ ব্যবহার, চাকার ব্যবহার, ধাতুর ব্যবহার, মৃৎশিল্প, বয়নশিল্প, গৃহ নির্মাণ কৌশল, যানবাহন তৈরি, নৌকার পাল খাটানো, পাথর দিয়ে অলংকার এবং পাথর সাজিয়ে 'ডোলমেন্ট' নামের সমাধি নির্মাণ প্রভৃতি করতে শেখে।

সুতরাং প্রাচীন ও মধ্য প্রস্তর যুগের তুলনায় নব্যপ্রস্তর যুগে এসে এত অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের জীবনে এই ব্যাপক তথা বৈপ্লবিক পরিবর্তনকে পুরাতাত্ত্বিক গর্ডন চাইল্ড 'নব্য প্রস্তর যুগের বিপ্লব' বলে অভিহিত করেছেন। গর্ডন চাইল্ড ১৯৩৬-সালে প্রকাশিত 'Men makes himself গ্রন্থে এবং ১৯৪০ সালে প্রকাশিত 'Wha' happened in history' গ্রন্থে নব্যপ্রস্তর যুগের বিপ্লব তত্ত্বটি বিস্তারিত আলোচন করেছেন।• মূল্যায়ন: তবে কোনো কোনো গবেষক পরবর্তীকালে গর্ডন চাইল্ড-এর বক্তব্যেং সমালোচনা করেছেন। তাদের বক্তব্য হল এই অগ্রগতি ছিল বিবর্তন, বিপ্লব নয়। সমালোচকরা দেখিয়েছেন যে, বালুচিস্তানের মেহেরগড়ে এই পরিবর্তন আসতে আই তিন হাজার বছর সময় লেগেছে। তবে এই সমালোচনার উত্তরে বলা যায় যে, পূর্বধল দুটি যুগে অর্থাৎ প্রাচীন প্রস্তর ও মধ্য প্রস্তর যুগে কষি, শিল্প, অর্থনীতি, সমাজ প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবর্তনের যে গতি ছিল তার তুলনায় নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি সমাজ পরিবর্তনের গতি ছিল অনেক বেশি। তাই নিঃসন্দেহে নব্য প্রস্তর যুগকে বিঘ্নং বলে স্বীকার করতেই হবে। উপমহাদেশে নব্য প্রস্তর কেন্দ্রগুলির বর্ণনা করো।

ভারতে নয়া প্রস্তর যুগের সংস্কৃতির কোনো একটা নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। মোটামুটি ভাবে খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ বা তারও কিছু আগে থেকে ২০০০ অব্ পর্যন্ত সময়কালটি মধ্য প্রস্তর যুগ বলা যেতে পারে। বালুচিস্তানের মেহেরগড়ে নব্য প্রস্তর পর্বের সূচনা হয় ৬০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কিছু আগে। আবার কিলি গুল মুহম্মদে নবা প্রস্তর যুগের সূচনা হয় কিছুটা পরে, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ অব্দে। কাশ্মীরে নব্যপ্রস্তর যুগের আবির্ভাব হয় ২৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ভারতের সমগ্র অঞ্চল জুড়ে একই সময়ে নব্যপ্রস্তর সংস্কৃতির উৎপত্তি হয়নি। বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে এর উৎপত্তি ও বিকাশ ঘটেছে।

প্রধান কেন্দ্রসমূহ: নব্যপ্রস্তর যুগের কেন্দ্র প্রায় সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়েই আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন কেন্দ্রটি হল মেহেরগড়। এছাড়া কাশ্মীর উপত্যকার বুরজাহোম, অসমের পার্বত্য অঞ্চল যেমন দেওজানি হার্ডিং, মেঘালয়, ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত, বিহারের চিরান্দ প্রভৃতি উল্লেখ্য। গুজরাতে এই আমলের বেশ কিছু কেন্দ্র পাওয়া গেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মাসকি, উৎনুর, পিকলিহাল, কর্নাটকের ব্রম্ভগিরি, কোদেকল এবং তামিলনাড়ুর পৈয়মপল্লী, ভারতীয় নব্যপ্রস্তর যুগের সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক কেন্দ্র। প্রকৃতপক্ষে নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ কাবেরী নদীর উপরে অবস্থিত সমগ্র অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল।

মধ্য প্রস্তর যুগে গুহাচিত্র বা প্রাচীন ভারতে গুহাচিত্র।

মধ্য প্রস্তর যুগ হল প্রাচীন প্রস্তর যুগ এবং নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী কাল। মধ্য প্রস্তর যুগের বিস্তৃতি ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৮০০০ থেকে ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। মধ্য প্রস্তর যুগে মানুষ গুহাচিত্র অঙ্কনে পারদর্শী হয়ে উঠেছিল। তাদের অঙ্কিত ছবিগুলিতে ভ্যামিতিক জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। কারণ কোনো ছবি ছিল ত্রিকোণাকার, কোনোটি চতুষ্কোণাকার আবার কোনোটিই বৃত্তাকার। ছবিগুলির বিষয়বস্তু মূলত শিকারের দৃশ্য। চরিতে মানুষের চেহারা কাঠির মতো। ছবিগুলিতে বাদামি, হলদে, সবুজ ইত্যাদি রঙের ব্যবহারও লক্ষ্য করার মতো। ছবিগুলিতে যেমন মানুষের সামাজিক ও দৈনন্দিন জীবন ফুটে উঠেছে, তেমনি শিল্পীর নৈপুণ্য এবং অনুরাগ ফুটে উঠেছে।

ভারতের বিভিন্ন স্থানে গুহায় যেসব গুহাচিত্র আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল-

কাইমুর পর্বতমালা: ভারতের সর্বপ্রাচীন গুহাচিত্রের স্বীকৃতি প্রদান করা হয় মধ্য ভারতের কাইমুর পর্বতমালার গুহা চিত্রগুলিকে। এখানে অপরিণত হাতে বেশ কিছু শিকারের চিত্র অঙ্কিত আছে, যার মধ্যে বেশ কিছু অসমাপ্ত অবস্থায় রয়েছে।

মির্জাপুর: ভারতীয় গুহাচিত্রের আদিম রূপ লক্ষ করা যায় বিন্ধ পর্বতের (মির্জাপুর) পর্বত গুহায় অঙ্কিত চিত্রসমূহের। অঙ্কিত চিত্রসমূহে শিল্পীদের দার্শনিক মনের পরিচয় পাওয়া যায়। এই পাহাড়গুলির কাছে লাল লোহা পাথরের চাঙর পাওয়া গেছে। মির্জাপুরের অন্তর্গত লিথুনিয়া, কহবার, ভালদরিয়া, মহামারিয়া এবং বিজয়গড় নামক স্থানীয় গুহায় চিত্র শিল্পের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।

সিংহপুর: উড়িষ্যার সম্বলপুরের উত্তর দিকে অবস্থিত সিংহপুরে একাধিক গুহা আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রথম গুহার মাপ ২০ ফুট চওড়া এবং ৩০ ফুট লম্বা। সেখানকার ভিতর গ্যালারির মতো তাক সজ্জা রয়েছে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় গুহার প্রবেশপথের উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুট। এই গুহায় অসংখ্য চিত্রশিল্পের নিদর্শন উল্লেখযোগ্যভাবে চিত্রিত রয়েছে।

ভীমবেটকা: মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলায় ভূপাল শহরের ৪৫কিমি দক্ষিণে বিন্ধ পর্বতের দক্ষিণ ঢালে ভীমবেটকার অবস্থান। ভীমবেটকা-তে ২০০৩ সালে প্রত্নতাত্বিকদের একদল ওই স্থানে উপস্থিত হয়ে অনেকগুলি গুহাচিত্র আবিষ্কার করেন।

মূল্যায়ন: আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে গুহাচিত্রগুলির উদ্দেশ্য কোনো শিল্পচর্চা নয়, ধর্মীয় বা যাদু বিশ্বাসই হল এর লক্ষ্য। সম্ভবত গুহার গভীরে লোকচক্ষুর অন্তরালে কোন অদৃশ্য শক্তির উদ্দেশ্যে এই চিত্রগুলি অঙ্কিত হয়েছিল। মনে করা হয় যে আদিম মানুষ বিশ্বাস করত চিত্রে যা ঘটেছে, বাস্তবেও তাই ঘটবে।